যুক্তরাজ্যে বেড়েছে নোরোভাইরাসের সংক্রমণ

যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর শীত মৌসুমে নোরোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। সাম্প্রতিককালে এ ভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেইন, "কাওয়াসাকি", ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। "উইন্টার ভমিটিং বাগ" নামে পরিচিত এই ভাইরাসের সংক্রমণ গত পাঁচ বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
নতুন কাওয়াসাকি স্ট্রেইনটি প্রথম ২০১৪ সালে চীন ও জাপানে শনাক্ত হয়েছিল এবং এখন তা ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে। যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ইংল্যান্ডে এই স্ট্রেইনের সংক্রমণ বেড়েছে। ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ১২ সপ্তাহেই কাওয়াসাকিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। এই স্ট্রেইনটির কারণে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে এবং ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গড়ের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নতমানের নজরদারি ও রিপোর্টিং ব্যবস্থার কারণে নোরোভাইরাসের সংক্রমণের হার শনাক্ত করা সহজ হয়েছে। তবে কাওয়াসাকি স্ট্রেইন সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা। সাধারণত নোরোভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা যায়, তবে নতুন স্ট্রেইনে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গও দেখা যাচ্ছে, যা কিছুটা কোভিড স্ট্রেইনের মতো পরিবর্তিত লক্ষণ প্রকাশ করছে।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ডেভিড অ্যালেন সতর্ক করেছেন যে, এই দ্বিতীয় স্ট্রেইনটি প্রথমটির চেয়ে বেশি মারাত্মক হতে পারে। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক, যা প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে কয়েক হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য করে। বিশ্বব্যাপী নোরোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যায়, যার ২৫ শতাংশ শিশু। যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসের কারণে বছরে গড়ে প্রায় ৮০ জন মানুষ মারা যান, বিশেষত বয়স্ক এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ব্যক্তিরা অধিক ঝুঁকিতে থাকেন।
জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মডার্না তাদের নতুন এম-আরএনএ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে, যা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কার্যকরী হতে পারে। এনএইচএস পরামর্শ দিচ্ছে, সংক্রমণ এড়াতে সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়াই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
সতর্কতা: নোরোভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা লক্ষ্মণমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা যায়।
নতুন কাওয়াসাকি স্ট্রেইনটি প্রথম ২০১৪ সালে চীন ও জাপানে শনাক্ত হয়েছিল এবং এখন তা ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ছে। যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ইংল্যান্ডে এই স্ট্রেইনের সংক্রমণ বেড়েছে। ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ১২ সপ্তাহেই কাওয়াসাকিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। এই স্ট্রেইনটির কারণে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে এবং ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গড়ের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নতমানের নজরদারি ও রিপোর্টিং ব্যবস্থার কারণে নোরোভাইরাসের সংক্রমণের হার শনাক্ত করা সহজ হয়েছে। তবে কাওয়াসাকি স্ট্রেইন সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা। সাধারণত নোরোভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা যায়, তবে নতুন স্ট্রেইনে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গও দেখা যাচ্ছে, যা কিছুটা কোভিড স্ট্রেইনের মতো পরিবর্তিত লক্ষণ প্রকাশ করছে।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ডেভিড অ্যালেন সতর্ক করেছেন যে, এই দ্বিতীয় স্ট্রেইনটি প্রথমটির চেয়ে বেশি মারাত্মক হতে পারে। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক, যা প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে কয়েক হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য করে। বিশ্বব্যাপী নোরোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যায়, যার ২৫ শতাংশ শিশু। যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসের কারণে বছরে গড়ে প্রায় ৮০ জন মানুষ মারা যান, বিশেষত বয়স্ক এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ব্যক্তিরা অধিক ঝুঁকিতে থাকেন।
জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মডার্না তাদের নতুন এম-আরএনএ ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে, যা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কার্যকরী হতে পারে। এনএইচএস পরামর্শ দিচ্ছে, সংক্রমণ এড়াতে সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়াই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
সতর্কতা: নোরোভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা লক্ষ্মণমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা যায়।