পিটিআই সমর্থকদের দোষী সাব্যস্ত করায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

পাকিস্তানের সামরিক আদালতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকদের দোষী সাব্যস্ত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের মতে দেশটির বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
গত বছরের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংসতা। পিটিআই প্রধানকে কারামুক্ত করার জন্য বিক্ষোভে নামে দলটির সমর্থকেরা। হামলা চালায় সামরিক স্থাপনা ও সরকারি ভবনে। এ ঘটনার জেরে প্রায় ১০৫ জন বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে মামলা করা হয়।
এই মামলায় গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ২৫ জন পিটিআই সমর্থককে শাস্তি দিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এদের মধ্যে অন্তত ১৪ জনকে দেয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদণ্ড। চলতি বছরের এপ্রিলে ২০ জনকে মুক্তি দেয়া হলেও এখনও হেফাজতে রয়েছেন ৮৫ জন।
তবে, সামরিক আদালতের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই বিচারকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইইউ সতর্ক করে বলেছে, পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে একই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পোস্টে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষকে ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানালেও, সামরিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচারকে স্বচ্ছতা ও স্বাধীন মূল্যায়নের অভাব হিসেবেই দেখছে।
তবে এসব সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থা কোনো বিদেশি সত্তা নয় যে তারা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এবং আইনি সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। এছাড়া, পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থা মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
গত বছরের মে মাসে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংসতা। পিটিআই প্রধানকে কারামুক্ত করার জন্য বিক্ষোভে নামে দলটির সমর্থকেরা। হামলা চালায় সামরিক স্থাপনা ও সরকারি ভবনে। এ ঘটনার জেরে প্রায় ১০৫ জন বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে মামলা করা হয়।
এই মামলায় গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ২৫ জন পিটিআই সমর্থককে শাস্তি দিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এদের মধ্যে অন্তত ১৪ জনকে দেয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদণ্ড। চলতি বছরের এপ্রিলে ২০ জনকে মুক্তি দেয়া হলেও এখনও হেফাজতে রয়েছেন ৮৫ জন।
তবে, সামরিক আদালতের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই বিচারকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইইউ সতর্ক করে বলেছে, পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
পরদিন সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে একই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পোস্টে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষকে ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকার রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানালেও, সামরিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচারকে স্বচ্ছতা ও স্বাধীন মূল্যায়নের অভাব হিসেবেই দেখছে।
তবে এসব সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থা কোনো বিদেশি সত্তা নয় যে তারা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এবং আইনি সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। এছাড়া, পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থা মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।