আইএমএফের চাপে ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টিসহ ৬৫ পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর। শুধু তাই নয়, মোবাইলে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের খরচেও বাড়তি ভ্যাট বসানো হচ্ছে। নতুন ভ্যাট আরোপের বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়েছে।
অচিরেই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই বাড়তি ভ্যাট আরোপ জনগণের জন্য অনেকটা মূল্যস্ফীতির আগুনে ঘি ডালার মতো হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে দেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে করছাড় কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর অংশ হিসেবে ভ্যাটহার যৌক্তিক করার কথা বলেছে। সংস্থাটির পরামর্শ মতে মানুষের প্রতিদিন ব্যবহার্য ৬৫ পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হলো— জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, সিগারেট, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল (স্যান্ডেল), বিমান টিকিট ইত্যাদি। ভ্যাট বাড়ানোর কারণে এসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ঋণ দিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে, টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটির বেশি। এই অর্থ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার (চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) সঙ্গে যোগ হবে।
বাজেট প্রণয়নের সময় অর্থ মন্ত্রণালয় এনবিআরকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবভিত্তিক নয় বলে এনবিআর থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। তার ওপর আইএমএফ আরো ১২ হাজার কোটি টাকা আদায়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ভ্যাটহার বাড়ানোর বিকল্প ছিল না। সূত্র আরও জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ নতুন ভ্যাটহারের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে।
আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত বাজেটের সময়ই ভ্যাটের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর বাইরে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। তা ছাড়া মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে এবার তো তা করার তেমন কারণও নেই। অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে এনবিআর ভ্যাটহার বাড়াতে চায়নি। এমনিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এনবিআর চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি পণ্য আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে এবং অতিরিক্ত সেই অর্থ আদায় করতে হবে বাজেট-পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে। তাই মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বাড়ানো ছাড়া এনবিআরের আর কোনো উপায় ছিল না।
সদ্যো বিদায়ী বছরের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর এনবিআরের শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে আইএমএফ মিশনের প্রধান জয়েন্দু দে। বৈঠকে আইএমএফ কর অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে আনার জন্য চাপ দেয়। একই সঙ্গে বাজেট-পদক্ষেপের মাধ্যমে কর-জিডিপি অনুপাত আগের ০.৫০ শতাংশের অতিরিক্ত আরও ০.২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত জুড়ে দেয়।
জানা যায়, ক্ষমতার পালাবদলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এক ধরনের মন্দাভাব থাকায় কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এরই মধ্যে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে সরকার। তাই রাজস্ব আয় বাড়াতে বিভিন্ন উপায় খুঁজছে এনবিআর। এরই অংশ হিসেবে ভ্যাট বাড়ানোর এ কৌশল বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
বছরের জুন নাগাদ জাপানের দুই ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডা ও নিশান তাদের ব্যবসাকে একীভূত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একীভূতকরণ আলোচনার ঘোষণা দিতে পারে এই দুই প্রতিষ্ঠান। এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স।
আজ এক বোর্ড সভায় বসবে প্রতিষ্ঠান দুটি। এই সভার আলোচনা নিয়ে পরে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিশানের অংশীদার মিতসুবিশি মটরসও যোগ দেবে।
এর আগে বুধবার বিবিসি জানায়, গত মার্চে জাপানের এই দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির বিষয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্বের সুযোগগুলো খুঁজে দেখার বিষয়ে একমত হয়।
হোন্ডা বর্তমানে জাপানের দ্বিতীয় ও নিশান তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পরিবর্তনশীল অটোমোবাইল শিল্পে টিকে থাকার লক্ষ্যে একীভূতকরণের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এই দুই শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
জাপানি সংবাদমাধ্যম টিবিএসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত করতে চায় হোন্ডা ও নিশান।
আলোচনা সফল হলে ২০২৬ সালের আগস্টে তারা উভয়ই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে এবং একটি যৌথ হোল্ডিং কোম্পানি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হবে।
হোন্ডা, নিশান ও মিতসুবিশি মটরস একীভূত হলে এটি টয়োটা ও ভক্সওয়াগনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে।
সে ক্ষেত্রে, ২০২১ সালে স্টেলান্টিস গঠনের পর অটোমোবাইল শিল্পে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হবে এটি।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদায়ী বছর তেমন কোনো লাভের মুখ দেখাতে পারেনি। দেশের শেয়ারবাজারের প্রধান সূচকগুলো ছিল নিম্নমুখী। প্রতিদিনের লেনদেনেও তেমন কোনো প্রবৃদ্ধি ছিল না। লাভ করার মতো কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানও পুঁজিবাজারে আসেনি এ বছর।
গত এক বছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬ শতাংশ। একই সময়ে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোর সূচক ডিএস৩০ কমেছে সাত শতাংশ।
২০২৩ সালটি ছিল এমন যে পুঁজিবাজারে সূচক একই জায়গায় আটকে ছিল। ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে বাজার নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে পতন থামাতে প্রতিটি শেয়ারের জন্য ফ্লোর প্রাইস বেধে দেয়। এই নিয়মে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ধরে দেওয়া হয়।
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে এটি করা হয়েছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়। এতে অন্তত পুঁজিবাজার নিষ্প্রাণ অবস্থা থেকে ফিরে এসেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর সূচক কমলেও ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন এ বছর পাঁচ শতাংশ বেড়ে ৬৩২ কোটি টাকা হয়।
সাধারণত পুঁজিবাজারে যখন কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয় তখন বিনিয়োগকারীরা তা থেকে সামান্য কিছু আয় করতে পারেন।
কিন্তু, গত এক বছরে মাত্র চারটি আইপিও হয়েছে। ২০২৩ সালে ছিল তিনটি, এটি প্রায় দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে গত দুই বছর ধরে আইপিও থেকেও কোনো লাভ করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম একে 'অত্যন্ত হতাশার বছর' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তার মতে, বছরের প্রথম তিন মাস ফ্লোর প্রাইস ছিল। এটি বাজার ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করেছে।
এরপর চরম বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় নির্বাচন পরবর্তীতে সাধারণত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা যেসব সুফল দেখতে পায়, তা এবার পায়নি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের পর বাজার কিছুটা গতি পায়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে সেটি স্থায়ী হয়নি।'
অন্তর্বর্তী সরকার যদি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় তাহলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে হবে।
'এটি পুঁজিবাজারের প্রধান সমস্যা। এখানে বিনিয়োগ করার মতো যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম।'
তিনি মনে করেন, শুধু নীতিগত সংস্কার দেখলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না। বরং ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোই বাজার চাঙ্গা করতে পারে।
'সরকারের কার্যক্রম এমন হতে হবে, যাতে পুঁজিবাজার সম্পর্কে মানুষের ধারণার পরিবর্তন হয়।'
২০২৪ সালে এসএমই মার্কেটে দৈনিক গড় লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৫ কোটি টাকা হয়েছে। একই বছর ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প ট্রেডিং বোর্ডেও লেনদেন বেড়েছে।
দরপতনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (যা শেয়ারপ্রতি আয়ের তুলনায় বর্তমান শেয়ারের দাম পরিমাপ করে) দাঁড়িয়েছে সাড়ে নয় শতাংশ। আগের বছর তা ছিল ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারগুলোয় বিনিয়োগ করা হলে তা যথেষ্ট লাভজনক।
অন্যান্য বারের মতো এই অর্থবছরেও (২০২৪-২৫) বাসায় বসেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রতিটি ধাপ কীভাবে পেরোবেন, তা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে-
যাদের জন্য আয়কর প্রযোজ্য?
বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। রিটার্ন দাখিলের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইট থেকে চলতি অর্থবছরের কর নির্দেশাবলী পড়তে ভুলবেন না।
এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তাকে আয়কর দিতে হবে। তবে নারী ও ৬৫-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা। আর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি পাঁচ লাখ টাকা।
এছাড়া, পূর্ববর্তী কর মূল্যায়ন, শহরে বাসস্থান, গাড়ির মালিকানা, নির্দিষ্ট কিছু পেশার সদস্যপদ, ব্যবসা পরিচালনা এবং দরপত্র বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যও আয়কর পরিশোধ করতে হয়। এটি নিবন্ধিত কোম্পানি ও এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আর মনে রাখবেন, করদাতা সনাক্তকরণ নাম্বার (টিআইএন) থাকলে আপনার করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক, আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে শূন্য রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সেটা না করলে আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান আছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কর দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—ইটিআইএন, জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি, বিস্তারিত ঠিকানা এবং আগের বছরের রিটার্নের নথি সরবরাহ করুন। একাধিক আয়ের উৎস থাকলে প্রয়োজন মোতাবেক কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। বিনিয়োগের বিবরণ, সম্পত্তির তথ্য এবং করমুক্ত আয়ের সার্টিফিকেট অন্তর্ভুক্ত করুন।
যেভাবে ধাপে ধাপে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করবেন: টিআইএন সনদ প্রাপ্তি
টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নাম্বার) সনদধারী প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। বয়স ১৮ অতিক্রম করলে টিআইএন সদন নেওয়াও বাধ্যতামূলক। আপনি যখন টিআইএন-এর জন্য আবেদন করবেন, আপনাকে কর দাখিলের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা বরাদ্দ করা হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তখন আপনাকে আয় বিবরণী জমা দিতে হবে। এরপর নিজে গিয়ে অথবা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কর অফিসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চাইলে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করতে, ওয়েবসাইটের ই-রিটার্ন শাখায় ক্লিক করুন। সেখানে 'সাইন আপ' অপশনে গিয়ে প্রথম বক্সে আপনার টিআইএন নাম্বার লিখুন। দ্বিতীয় বক্সে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারটি লিখুন (প্রথম শূন্য বাদ দিয়ে)। এরপর ক্যাপচা কোড দিয়ে 'ভেরিফাই' বাটনে ক্লিক করুন। ফোনে আসা ওটিপি ব্যবহার করে আপনার ফোন নাম্বারটি নিশ্চিত করুন। সবশেষে ই-রিটার্ন সিস্টেমে লগ ইন করতে একটি পাসওয়ার্ড ঠিক করুন।
ধাপ ১: ই-রিটার্ন সিস্টেমে প্রবেশ
একবার নিবন্ধন করা হয়ে গেলে এরপর আপনি ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার টিআইএন, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা দিয়ে সাইন ইন করতে পারবেন। এরপর একটি ড্যাশবোর্ড পাবেন। এর বাম দিকে থাকা 'রিটার্ন সাবমিশন' অপশনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ২: কর যাচাইয়ের তথ্য
ই-রিটার্ন ফরমের শুরুতেই থাকবে 'ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট ইনফরমেশন'। সেখানে আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য– রিটার্ন স্কিম, আয়ের সাল ও উৎস দিতে হবে। আপনার আয় যদি করমুক্ত হয়, তাহলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি 'রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস' দিতে হবে।
ধাপ ৩: আয়ের বিবরণ
এই পর্যায়ে, 'হেডস অফ ইনকাম'-এ গিয়ে আপনার বিভিন্ন আয়ের উৎস দিন। এখানে আপনার বেতন, নিরাপত্তা সুদ, বাড়ি-সম্পত্তি থেকে আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা থেকে আয়, মূলধন লাভ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
যদি আপনার বেতন আপনার আয়ের একমাত্র উৎস হয়, তাহলে 'স্যালারি' অপশনে ক্লিক করুন। এর বাইরে আয় থেকে থাকলে 'ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস' অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে অন্যান্য যেসব উৎস থেকে আয় করে থাকেন, তাতে ক্লিক করুন।
এরপর 'সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ' অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
ধাপ ৪: অতিরিক্ত তথ্য
এই ধাপে একটি ড্রপডাউন মেনু থেকে আপনার প্রাথমিক আয়ের উৎসের স্থান ঠিক করবেন। সেখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মতো অনেকগুলো অপশন থাকবে।
আপনি যদি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আইনি অভিভাবক হয়ে থাকেন, সেটিও এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এছাড়া, বিনিয়োগের জন্য আপনি করমুক্তির দাবিদার কি না এবং আপনি কোনো সংস্থার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কি না, তা 'হ্যাঁ' বা 'না'-এর মাধ্যমে উত্তর দেবেন।
ধাপ ৫: আইটি১০বি পূরণ
যদি আপনার সম্পূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা বা তারচেয়ে বেশি হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই স্টেটমেন্ট ফর্মের ব্যয় বিভাগটি পূরণ করতে হবে। এজন্য 'আইটি১০বি ফর্ম' পূরণ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখের কম হলে তা পূরণ করতে হবে না। এক্ষেত্রে, আপনার ও আপনার পরিবারের বার্ষিক খরচের হিসেব দিতে হবে।
এরপর 'সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ' অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
ধাপ ৬: আয়ের বিবরণ
অন্যান্য উৎস থেকে আসা আয়, বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়ের বিবরণ দিন। বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আসা আয়ের তথ্য দিতে আপনি ড্রপডাউন মেনুতে বিভিন্ন অপশন পাবেন।
'এনি আদার ইনকাম' অপশনে ক্লিক করলে সেখানে আপনার অন্য আয়ের উৎস, অর্থ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত সর্বশেষ আয়ের তারিখ ও পরিমাণ, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। এসব তথ্য দেওয়ার পর আপনার নেট আয়ের হিসেব দেখানো হবে।
আবার 'সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ' অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
ধাপ ৭: বিনিয়োগ বিভাগ
আপনি যদি বর্তমানে জীবন বীমা প্রিমিয়াম, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস (ডিপিএস), অনুমোদিত সঞ্চয়পত্র, সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড, গ্রুপ বীমা প্রিমিয়াম, অনুমোদিত স্টক বা শেয়ার, কিংবা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করে থাকেন, সেগুলো এখানে উল্লেখ করবেন।
ধরুন আপনি যদি 'ডিপিএস' অপশনে ক্লিক করেন, তাহলে সেখানে ব্যাংকের নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দিতে হবে। এভাবে অন্যান্য অপশনে গেলেও আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
আবার 'সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ' অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
ধাপ ৮: ব্যয়
এই বিভাগে, মোট আয়ের বিপরীতে আপনার মোট ব্যয় পর্যালোচনা করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের বিভাগ থাকবে। খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান (পরিবহন, গৃহস্থালি, ইউটিলিটিসহ), বাচ্চাদের শিক্ষা এবং অন্য কোনো ব্যয়ের খাত থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এই বিবরণগুলো পূরণ করলে আপনার বকেয়া করের হিসেব দেওয়া হবে।
ধাপ ৯: কর এবং পেমেন্ট
এখানে আপনি ইতোমধ্যে কোনো উৎস কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করে থাকলে তার হিসেব দিতে পারবেন। এই হিসেব দেওয়ার পর আপনার মোট প্রদেয় করের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে। আপনার আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া না থাকলে আপনার প্রদেয় করের পরিমাণ হবে শূন্য। একে 'শূন্য রিটার্ন' বলা হয়।
ধাপ ১০: রিটার্ন ভিউ
'অনলাইন রিটার্ন' অপশনে ক্লিক করলে আপনি রিটার্ন ফর্মটি দেখতে পাবেন। তার নিচে 'ইয়েস' অপশনে ক্লিক করলেই আপনার রিটার্ন চলে যাবে। কোনো তথ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলে আপনি 'নো' অপশনে ক্লিক করতে পারেন এবং আবার সব তথ্য দেখে নিতে পারেন।
ধাপ ১১: রসিদ ডাউনলোড করুন
যদি আয়কর রিটার্ন সফলভাবে জমা হয়, তাহলে আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা লেখা দেখবেন। সেখানে আপনি একটি রেফারেন্স আইডি ডাউনলোড করার অপশন পাবেন। সেটি ডাউনলোড করে অনলাইনেই আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। অথবা সেটি প্রিন্ট করে আয়কর অফিসে পাঠাতে পারেন।
এই প্রক্রিয়াটি জটিল মনে হলে আপনি কোনো কর আইনজীবীর দ্বারস্থ হতে পারেন। এছাড়া, বিডিটেক্স এবং শাপলা ট্যাক্সের মতো অনেক অনলাইন প্লাটফর্ম ও অ্যাপ্লিকেশন আছে, যেগুলো আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সাহায্য করবে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে আজকের লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, আজ লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭২ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৫১ ও ১৯০৫ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
মঙ্গলবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪২টির, কমেছে ৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- মিডল্যান্ড ব্যাংক, অগ্নি সিস্টেম, বেক্সিমকো ফার্মা, লাভেলো আইসক্রিম, বিচ হ্যাচারি, সোনালি আঁশ, বিএসসি, এমারেল্ড অয়েল, আফতাব অটো ও জেনেক্স।
এর আগে মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স বাড়ে ২৬ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরও ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭২ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ের মধ্যে ১২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ বছর নির্ধারণের জন্য চীনকে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ রোববার সচিবালয়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধি এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ''লো-কস্ট (কম সুদে) ঋণ আনা আমাদের সব সময়ই অগ্রাধিকার, আমরা চাই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়াতে। আমরা চীনকে বলেছি, তাদের দেওয়া ঋণের রি-পেমেন্ট পিরিয়ড বাড়িয়ে ৩০ বছর করতে। আমরা বলেছি, গ্রেস পিরিয়ড বাড়াতে।''
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জাপানি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর আছে। তাদের দেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ডও ১০ বছর।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সর্বশেষ ডেট বুলেটিন এর তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে বাংলাদেশে চীনা ঋণের স্থিতি ৫৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। চীন সাধারণত বাংলাদেশকে ঋণের গ্রেস পিরিয়ড সাধারণত পাঁচ বছর ও রি-পেমেন্ট পিরিয়ড ১৫ বছর দিয়ে থাকে।
গত জুন মাসে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরের সময় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) ঋণের সুদহার কমানোর পাশাপাশি পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেছেন, জাপানি ঋণের পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর আছে। আমরা সিংহভাগ জনগণের কল্যাণের চিন্তা করে প্রকল্প নেব। তবে অতীত নিয়ে আমরা কোন পোস্টমর্টেম করতে চাই না।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন (৪০ কোটি) ডলার সহায়তা দেবে জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এডিবি, জাইকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সবার কাছেই সহায়তা চাচ্ছি। তারা এতদিন যেভাবে সহায়তা করেছে, এখন তার চেয়ে বেশি সহায়তা চাচ্ছি। তিনটি উন্নয়ন অংশীদারই এক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছেও আমরা নতুন করে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছি। এ মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় আইএমএফ এর বার্ষিক সম্মেলনে এই ঋণ নিয়ে আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিদেশি ঋণের প্রবাহ ঠিক ছিল জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "এসব ঋণ ব্যবহারে কোন দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা বড় বিষয়। অনেক মনোমেন্ট প্রজেক্ট হয়। মসজিদ, মন্দির, বড় প্রজেক্ট এগুলোকে মনোমেন্ট প্রজেক্ট বলা হয়। ইন্ডিয়াতে একটা প্রবণতা আছে– বড় প্রজেক্ট তৈরি করার। আমাদের দেশেও এ ধরণের একটা সিমটম ছিল।"
বর্তমানে কোনও প্রকল্পের কাজ একদম থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একনেক এর মিটিং এরপর কিছু প্রকল্প মূল্যায়ন করবো। এডিবি, জাইকা বলেছে, তারা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াবে।
''আমরা সবার কাছেই সহযোগিতা চেয়েছি। জাইকা, এডিবি, অস্ট্রেলিয়া- তিনটিই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। তারা যে পরিমাণ সহযোগিতা করছে, সেটা আরও বাড়াতে বলেছি।''
জাইকার অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প আছে- পোর্ট, মেট্রোরেলের মতো প্রকল্প আছে। এসব প্রকল্প অব্যাহত রাখতে বলেছি। তাছাড়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাদের সহযোগিতা চেয়েছি - জানান অর্থ উপদেষ্টা।
তুরস্কে মূল্যস্ফীতি আগস্ট মাসে কিছুটা কমেছে। দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, আগস্ট মাসে তুরস্কে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫২ শতাংশ। আগের মাসে অর্থাৎ জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৬১ দশমিক ৮ শতাংশে উঠেছিল। বিশ্বের যেসব দেশে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি, তুরস্ক তার একটি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছর থেকে সুদের হার বাড়াতে শুরু করে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে প্রথাগত মুদ্রানীতি অনুসরণের বিপক্ষে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর বিরোধিতা প্রত্যাহার করে নেন।
দেশটিতে ২০২২ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ৮৫ শতাংশে উঠেছিল। এই হার ছিল এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২৩ সালের জুনে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৩৮ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছিল। কিন্তু এরপর আবার মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছর এই হার বেড়ে ৭৫ শতাংশে ওঠে। তবে জুন মাস থেকে মূল্যস্ফীতি আবার কমতে শুরু করে।
আগস্ট মাসে খরচ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শিক্ষা খাতে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর ছিল আবাসনে ১০১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট এই তথ্য দিয়েছে।
তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশে এসে দাঁড়াতে পারে।
জুলাই মাসে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু দেশটির সরকার তা পিছিয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরা। গত দুই বছরে তুরস্কে সর্বনিম্ন মজুরি বাড়ানো হয়েছিল।
তুরস্কের স্বাধীন অর্থনীতিবিদেরা অবশ্য মনে করেন, দেশটির আসল মূল্যস্ফীতি সরকারের দেওয়া হিসাবের চেয়ে বেশি। তাঁদের মতে, এই হার এরই মধ্যে ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে।
অ্যাপলকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ফিনান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে- ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিযোগ, সংগীত পরিষেবা চালু করতে ইইউয়ের আইন ভঙ্গ করছে অ্যাপল।
এই জরিমানা আগামী মাসের প্রথম দিকে ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, ইউরোপীয় কমিশন গত বছর অ্যাপলকে অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে সংগীত পরিষেবা দিতে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করেছিল।
তবে, এ বিষয়ে এখনো অ্যাপলের মন্তব্য জানা যায়নি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে টেক হেভিওয়েট মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হয়ে উঠেছে এনভিডিয়া।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম গতকাল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১৩৫ দশমিক ৫৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিটির বাজার মূলধন ৩ দশমিক ৩৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
মাইক্রোসফটের বাজার মূল্য ছিল ৩ দশমিক ৩১৭ ট্রিলিয়ন ডলার এবং শেয়ারের দাম শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। অ্যাপলের শেয়ারের দাম এক শতাংশের বেশি কমেছে এবং বাজার মূলধন ৩ দশমিক ২৮৬ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর থেকে বাজার মূল্যে এনভিডিয়ার এই উত্থান শুরু হয়। এ থেকে বোঝা যায়, এআই প্রযুক্তি নিয়ে ওয়ালস্ট্রিট উন্মাদনা বেড়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার চীনে টয়োটার বিক্রি কমেছে ২৭ শতাংশ এবং নিজ দেশ জাপানে কমেছে ১৪ শতাংশ।
গত এপ্রিলে সারাবিশ্বে জাপানের শীর্ষ গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টয়োটার উৎপাদন ও বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে সারাবিশ্বে টয়োটার বিক্রি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার চীনে টয়োটার বিক্রি কমেছে ২৭ শতাংশ এবং নিজ দেশ জাপানে কমেছে ১৪ শতাংশ।
টয়োটা মোটরস সংবাদ সংস্থাটিকে জানিয়েছে, ব্যাপক প্রচারণা সত্ত্বেও চীনে গাড়ি বিক্রি কমেছে।
চীনের গাড়ির দামের সঙ্গে জাপানি গাড়ির দামের পার্থক্য, টয়োটার কয়েকটি মডেলের উৎপাদন বন্ধ ও গাড়ির নিরাপত্তাজনিত সমস্যা টয়োটা গাড়ি বিক্রিতে প্রভাব ফেলছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে টয়োটার উৎপাদন বাড়লেও চীন, জাপান, থাইল্যান্ডে প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি উৎপাদন কম হয়েছে। সব মিলিয়ে সারাবিশ্বে টয়োটার উৎপাদন কমেছে চার শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে মেক্সিকোয় টয়োটার টাকোমা পিকআপ ট্রাকের উৎপাদন কয়েকবার বন্ধ রাখতে হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, জাপানের গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনের হাইব্রিড গাড়ির ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রবল প্রতিযোগিতায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি, জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য বাড়তি চাপে আছে।
আলজেরিয়া ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দিচ্ছে। আফ্রিকার এ দেশটি সদস্যপদে চেয়ে যে আবেদন করেছিল, তা অনুমোদন করা হয়েছে। আলজেরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এক বৈঠকে শনিবার আলজেরিয়াকে সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, যা ব্যাংকটির প্রধান দিলমা রুসেফ ঘোষণা করেন।
আলজেরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিকস গ্রুপের এই গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আলজেরিয়া বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় নিজেদের সংহত করার প্রক্রিয়ায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
ব্রিকস জোটের নামটি নেওয়া হয়েছে প্রথম দিকের পাঁচটি সদস্যদেশের নাম থেকে। এই সদস্যরা হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে এই জোটে সদস্য আরও বাড়ানো হয়েছে। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতো বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকল্প দেওয়া।
আলজেরিয়ার সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো শক্তিশালী হওয়ার কারণে এ ব্যাংকে দেশটিকে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, দেশটির সাম্প্রতিক অর্জন চমৎকার এবং এর ফলে ‘উদীয়মান দেশগুলোর ওপরের দিকে’ আলজেরিয়া স্থান করে নিয়েছে।
আলজেরিয়া আফ্রিকার অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিকসের ব্যাংকের সদস্যপদ পাওয়ার কারণে মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে আলজেরিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মূল্য উদ্দেশ্য হলো উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থ জোগানো।
সম্প্রতি যেসব দেশ ব্রিকস ব্যাংকের সদস্য হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও সৌদি আরব।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ চীনে চাহিদা কম থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সেপ্টেম্বরের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক সাত শতাংশ কমিয়ে ধরা হয়েছে ৮১ ডলার ১২ সেন্ট।
এ ছাড়া, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দাম ৬১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক আট শতাংশ কমিয়ে ৭৬ ডলার ৯৮ সেন্ট ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটিতে ৩৭ লাখ ব্যারেল কম অপরিশোধিত তেল তোলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দেশটিতে গ্যাসোলিনের মজুদ ৫৬ লাখ ব্যারেল কমেছে। ডিসটিলেটের মজুদ কমেছে ২৮ লাখ ব্যারেল।
নিশান সিকিউরিটিজের অধীন এনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিরোউকি কিকুকাওয়া সংবাদ সংস্থাটিকে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসোলিনের মজুদ কমলেও আসলে সবাই উদ্বিগ্ন চীনে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায়।'
সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি চীনে তেল আমদানি কমেছে। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে তেলের চাহিদা কম।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ১৪তম প্যাকেজের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কূটনীতিকরা বলেছেন, এবারই প্রথম নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছে রাশিয়ার গ্যাস।
আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্যাকেজে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলসীমায় রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) পুনঃরপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ এখনো রাশিয়া থেকে ইউক্রেন হয়ে পাইপলাইনে গ্যাস আমদানি করছে।
গ্যাস বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কারণ এশিয়াতে ইইউ বন্দরগুলোর মাধ্যমে গ্যাসের ট্রান্স-শিপমেন্ট রাশিয়ার মোট এলএনজি রপ্তানির মাত্র ১০ শতাংশ।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, প্যাকেজটিতে রাশিয়ার তিনটি এলএনজি প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে রাশিয়ার সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাতিলের অনুমতি দিতে একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত আছে।
আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত ইইউ সভাপতিত্বের দায়িত্বে থাকা বেলজিয়াম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছে, প্যাকেজটি ফাঁকফোকর বন্ধ করে চলমান নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রভাব আরও বাড়াবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক্সে বলেছেন, 'এই কঠোর প্যাকেজ মূল প্রযুক্তিতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার আরও সংকুচিত করবে। এতে রাশিয়ার জ্বালানি আয় আরও কমবে। (প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির) পুতিনের ছায়া বহর ও বিদেশের ছায়া ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক মোকাবিলা করা যাবে।'
নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ নিয়ে সদস্য দেশগুলো এক মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তি-তর্ক দেখিয়েছে। শেষ পর্যন্ত কমিশনের একটি প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়। একজন ইইউ কূটনীতিক বলেছেন, জার্মানি এই উদ্যোগটির প্রভাব মূল্যায়নের প্রস্তাব দিয়েছে ও পদক্ষেপটি পরবর্তী প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ইইউ দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ট্যাংকার যুক্ত করেছে এবং উত্তর কোরিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী রাশিয়ার মালিকানাধীন অন্তত দুটি জাহাজ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে মস্কো ও পিয়ংইয়ং আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের পর হামলার মুখে পড়লে তাৎক্ষণিক সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
সামগ্রিকভাবে ৪৭টি নতুন প্রতিষ্ঠান ও ৬৯ ব্যক্তি ইইউ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। ফলে মোট নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ২০০ হলো বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আগামী সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে বলে আশা করছেন কূটনীতিকরা।