২০২৪: বলিউডের আলোচিত যত বিয়ে

২০২৪ সালে বলিউডের একাধিক তারকা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এরমধ্যে কয়েকজন তারকা রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করে শোরগোল ফেলেছিলেন গোটা দুনিয়ায়। ভারতীয় শোবিজে আলোচিত বিয়েগুলো নিয়ে এই আয়োজন।

রাকুলপ্রীত সিং-জ্যাকি ভাগনানি

চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন রাকুলপ্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানি। এদিন বেশ জমকালো আয়োজনেই গোয়াতে বসেছিল তাদের বিয়ের আসর। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনো লুকোচুরি করেননি তারা। ২০২২ সালে অভিনেত্রীর জন্মদিনে জ্যাকির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আনেন তারা।

তাপসী পান্নু-ম্যাথিয়াস

এই বছরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তাপসী পান্নু। রাজস্থানের উদয়পুরে ২৩ মার্চ ম্যাথিয়াস বোয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা। অনুরাগ কাশ্যপ, কনিকা ধিলোন এবং পাভেল গুলাটির মতো তারকারাও উপস্থিত ছিলেন।

সোনাক্ষী সিনহা-জহির ইকবাল

চমকে ভরা ছিল সোনাক্ষী ও জহির ইকবালের বিয়ে। চলতি বছরের ২৩ জুন বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। তাদের বাসভবনে প্রিয়জনের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন তারা।

অদিতি রাও হায়দারি-সিদ্ধার্থ

অদিতি রাও হায়দারি ও সিদ্ধার্থের বিয়ে নিয়ে বহু দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা। ১৬ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তারা। বিয়ের আসর বসেছিল রাজস্থানের ২৩৩ বছরের পুরনো আলিলা দুর্গে।

অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্ট

এই বছরে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে রাধিকা মার্চেন্ট ও অনন্ত আম্বানির। বলিউডের বিয়ে না হলেও এই বিয়েতে বলিউড তারকাদের উপস্থিতি অন্য যেকোনো বিয়ের চেয়ে বেশি ছিল। যেন বলিউডেরই কোনো অনুষ্ঠান। ১২ জুলাই মুম্বাইয়ে হিন্দু রীতি মেনে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। তবে এর আগে দুবার বসেছিল তাদের প্রাক-বিয়ের জাঁকজমক আসরও। তাদের বিয়ের জাঁকজমকে অবাক হয়েছে সারা বিশ্বের বহু মানুষ। বলিউডের পাশাপাশি হলিউড-কলকাতার তারকারাও ছিলেন। পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বাণিজ্য জগতের অনেকেই ছিলেন।

                                 

বিনোদন বার্তা আরো

২০২৪: শোবিজ যাদের হারিয়েছে

শোবিজ অঙ্গনের অনেককেই আমরা ২০২৪ সালে হারিয়েছি। তারা হারিয়ে গেলেও, বেঁচে আছেন তাদের আপন সৃষ্টিতে। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন নাটক, নৃত্য ও সংগীতে থেকে যাবে তাদের অসামান্য অবদান।

এই তালিকায় আছেন গীতিকবি জাহিদুল হক, অভিনেতা আহমেদ রুবেল, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ, ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ, ব্যান্ডশিল্পী খালিদ, অভিনেতা অলিউল হক রুমি,  রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল, মনি কিশোর, অভিনেতা মাসুদ আলী খান, সুরকার সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম,অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন।

অভিনেতা আহমেদ রুবেল

৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেতা আহমেদ রুবেল। নিজের অভিনীত 'পেয়ারার সুবাস'-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। গাড়ি থেকে নামার পরই সেখানে পড়ে যান এই অভিনেতা।

আহমেদ রুবেল একুশে টেলিভিশনের আলোচিত ধারাবাহিক নাটক 'প্রেত'-এ অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান। হুমায়ুন আহমেদের পরিচালনায় 'শ্যামল ছায়া" সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

সালাউদ্দিন লাভলুর সাড়া জাগানো নাটক 'রঙের মানুষ' ও মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর জনপ্রিয় নাটক '৬৯'- এ সাবলীল অভিনয় করে দর্শকনন্দিত হন। তার অভিনীত 'গেরিলা', 'মেঘলা আকাশ', 'আলফা', 'লাল মোরগের ঝুঁটি'-সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রশংসিত হয়েছে। নাসিরউদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত 'আলফা' সিনেমাটি অস্কারে গিয়েছিল।

গীতিকবি জাহিদুল হক

১৫ জানুয়ারি মারা যান ষাটের দশকের কবি, গীতিকার জাহিদুল হক। মত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দীর কণ্ঠে 'আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়' গানটি দেশজুড়ে  জনপ্রিয়তা পায়।

রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ

প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ ১৩ মার্চ মারা যান। অজানা এক অভিমানে আত্মহত্যা করেন এই গুণী সংগীতশিল্পী।

সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার সাদি মহম্মদ বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। অসংখ্য সিনেমায় ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। ২০১২ সালে চ্যানেল আইয়ের 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' এবং ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির 'রবীন্দ্র পুরস্কার'সহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

কণ্ঠশিল্পী খালিদ

'হয়নি যাবারও বেলা', 'সরলতার প্রতিমা', 'আবার দেখা হবে'র মতো অসংখ্য গানের শিল্পী খালিদ মারা যান ১৮ মার্চ। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

খালিদের কণ্ঠে উল্লেখযোগ্য গানের মধ্য রয়েছে- যতোটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, আকাশের বুকে সরলতার প্রতিমা', 'কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে', 'হয়নি যাবার বেলা', 'যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে', 'তুমি নেই তাই, আকাশলীনা'গানগুলো।  

অভিনেত্রী সীমানা

অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা ৪ জুন  সকাল ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শোবিজে সীমানার পথচলা শুরু হয় ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করছিলেন। দেখা গেছে সিনেমায়ও।

অভিনেতা অলিউল হক রুমি

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২২ এপ্রিল মারা যান অভিনেতা অলিউল হক রুমি। ক্যানসার জয় করে আগের মতো অভিনয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেরা হয়নি তার।

ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ

২৫ জুলাই  যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

মাইলস ব্যান্ডের ভোকাল ও বেজ গিটারিস্ট শাফিন আহমেদের কন্ঠে শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় একক অ্যালবাম ও ব্যান্ডের গানের তালিকায় রয়েছে 'চাঁদ তারা সূর্য', 'প্রথম প্রেমের মতো', 'গুঞ্জন শুনি', 'সে কোন দরদিয়া', 'ফিরিয়ে দাও', 'ধিকি ধিকি', 'পাহাড়ি মেয়ে', 'কি যাদু', 'কতকাল খুঁজব তোমায়', 'হৃদয়হীনা', 'স্বপ্নভঙ্গ', 'জ্বালা জ্বালা', 'শেষ ঠিকানা', 'পিয়াসী মন', 'বলব না তোমাকে', 'জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন', 'আজ জন্মদিন তোমার', 'প্রিয়তমা মেঘ' গানগুলো।

কণ্ঠশিল্পী  জুয়েল

কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ৩০ জুলাই সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।  সংগীতশিল্পী, নির্মাতা ও সঞ্চালক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ১১ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি।

হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম 'কুয়াশা প্রহর' প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় 'এক বিকেলে', 'আমার আছে অন্ধকার', 'একটা মানুষ', 'দেখা হবে না', 'বেশি কিছু নয়', 'বেদনা শুধুই বেদনা', 'ফিরতি পথে', 'দরজা খোলা বাড়ি' ও 'এমন কেন হলো'। তার 'এক বিকেলে' অ্যালবামটি সবচেয়ে আলোচিত ছিল।

নির্মাতা শিল্পী চক্রবর্তী

নির্মাতা শিল্পী চক্রবর্তী রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ৭ মার্চ  মারা।মৃত্যুকালে নির্মাতার বয়স ছিলো ৭১ বছর। শিল্পী চক্রবর্তী 'বিনি সুতার মালা', 'আমার আদালত', 'তোমার জন্য পাগল', 'সবার অজান্তে', 'চরমপত্র', 'মীমাংসা' সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর

চলতি বছর অক্টোবরে মারা যান ৯০ দশকের দর্শকপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর। ১৯ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৪ অক্টোবর কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের দাফন সম্পন্ন হয়।

মনি কিশোরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে—'কী ছিলে আমার বলো না তুমি', 'আমি মরে গেলে', 'ফুল ঝরে তারা ঝরে', 'মুখে বলো ভালোবাসি', 'আমি ঘরের খোঁজে'।

অভিনেতা মাসুদ আলী খান

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন ৩১ অক্টোবর। মৃত্যুকালে মাসুদ আলী খানের বয়স ছিল ৯৫ বছর।

মাসুদ আলী খান ১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।

মাসুদ আলী খানের  অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে 'দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।

অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত জামাল উদ্দিন হোসেন টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকের অভিনেতা  ১২ অক্টোবর মারা গেছেন। কানাডার ক্যালগিরিতে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে এই অভিনেতার  বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

জামাল উদ্দিন হোসেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ছেড়ে একসময় প্রতিষ্ঠা করেন নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন তিনি।

সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মৃত্যুবরণ করেন ১৭ অক্টোবর। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে পান শিল্পকলা পদক।

সুজেয় শ্যাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন। তার করা উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে আছে- 'বিজয় নিশান উড়েছে ওই', 'রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি', 'রক্ত চাই রক্ত চাই', 'আহা ধন্য আমার জন্মভূমি', 'আয়রে চাষি মজুর কুলি', 'মুক্তির একই পথ সংগ্রাম', 'আহা ধন্য আমার জন্মভূমি', 'আয় রে চাষি মজুর কুলি', 'মুক্তির একই পথ সংগ্রাম'।

গীতিকবি আবু জাফর

বছরের শেষের দিকে আমরা হারাই বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষক আবু জাফরকে। তিনি মারা যান গত ৫ ডিসেম্বর। আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন।
আবু জাফর রচিত উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে 'তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম', 'নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে', 'আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি' ও 'তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি।
তার লেখা 'এই পদ্মা এই মেঘনা' গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছে।

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার ১২ ডিসেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান গুণী এই শিল্পী। একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন ।

নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম' গানটি তাকে শ্রোতাদের কাছে আরও বেশি পরিচিত করেছিল। পাপিয়া সারোয়ার ২০২১ সালে একুশে পদক পান।

নির্মাতা সি বি জামান

'উজান ভাটি' খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সি বি জামান মারা গেছেন ২০ ডিসেম্বর। চলতি মাসে হার্ট অ্যাটাকের পর থেকেই আইসিইউতে ছিলেন তিনি।

সিবি জামান নির্মিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ঝড়ের পাখি, উজান ভাটি, লাল গোলাপ, কুসুম কলি, সুভরাত্রি, দিন যায় কথা থাকে, হিসাব নিকাশ, পুরস্কার।

Wednesday, January 1, 2025

২০২৪: আলোচিত নায়ক-নায়িকা-সিনেমা ও গান

চলতি বছর মোট ৫০টি দেশীয় বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মধ্যে হাতেগোনা দু-একটি ব্যবসা সফল হয়েছে। ব্যবসা না করতে পারলেও বেশকিছু সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী আলোচনার শীর্ষে নিজেদের ধরে রেখেছেন।

তবে জুলাইয়ের পর যেসব সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার একটিও ব্যবসায়িকভাবে সুবিধা করতে পারেনি। বছরজুড়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ঢাকাই সিনেমার শীর্ষে অবস্থান নায়ক-নায়িকা, সিনেমা ও গান নিয়ে সালতামামি থাকছে আজ।

আলোচিত নায়ক

ঢাকাই সিনেমার নায়কদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছেন শাকিব খান। ১৭ জুন ঈদুল আযাহায় মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফী পরিচালিত 'তুফান' সিনেমাটি এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত ও সুপারহিট সিনেমা। সিনেপ্লেক্সে বছরের সেরা ১০ সিনেমার ১ নম্বরে আছে 'তুফান' সিনেমাটি। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শাকিব অভিনীত আরেকটি সিনেমা হিমেল আশরাফ পরিচালিত 'রাজকুমার' হিটের তালিকায় রয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্স তাদের সেরার তালিকার ১০ নম্বরে রেখেছে অনন্য মামুন পরিচালিত শাকিবের 'দরদ' সিনেমাটি।

আলোচিত নায়িকা

নায়িকাদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে আছেন শবনম বুবলি। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত মিশুক মনি পরিচালিত 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন শরীফুল রাজ।

সিনেমায় অভিষেক

মেহজাবীন চৌধুরীর টেলিভিশন থেকে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে এই বছরে। শঙ্খ দাসগুপ্ত পরিচালিত 'প্রিয় মালতী' সিনেমায় তার অভিনয় দর্শক মহলে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই অভিনেত্রীর অভিনয় বিষয়ে ইতিবাচক কথা লিখেছেন। শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনেকেই তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে মেহজাবীন চৌধুরীর জন্য এটি স্মরণীয় বছর হয়ে থাকবে।

আলোচিত সিনেমা

শীর্ষে থাকা সিনেমার তালিকার প্রথমে রয়েছে নির্মাতা রায়হান রাফী পরিচালিত 'তুফান' সিনেমাটি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত 'রাজকুমার'। অন্য আলোচিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে মিশুক মনি পরিচালিত 'দেয়ালের দেশ', গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'কাজল রেখা', মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত 'ওমর', কামরুজ্জামান রুমান পরিচালিত  'মোনাজ্বিন-২', মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত '৮৪০', অনন্য মামুন পরিচালিত 'দরদ', শঙ্খ দাসগুপ্ত পরিচালিত 'প্রিয় মালতী' সিনেমাগুলো।

আলোচিত সিনেমার গান

সিনেমার গানের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে  রয়েছে 'তুফান' সিনেমার 'দুষ্ট কোকিল' গানটি। কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা ও অকাশ সেন গানটি গেয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে 'তুফান' সিনেমার 'লাগে উরা ধুরা' গানটি। দ্বৈতকণ্ঠে এই গানটি গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। 'রাজকুমার' সিনেমার 'ও রাজকুমার' গানটি  আলোচনায় রয়েছে। দ্বৈতকণ্ঠে এই গানটি গেয়েছেন কোনাল ও বালাম।

Wednesday, January 1, 2025

ঢাকায় ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ৩ ডিসেম্বর

রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে আগামী মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব। তিন দিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ মোহাম্মদ নিস্তার খান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. সাবিনা শারমিন এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি।

উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে ইবরাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত বডিগার্ড। উৎসবের অন্যান্য দিনে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদির দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন, দি সংস অব স্প্যারো, দি কালার অব প্যারাডাইস, আব্বাস কিয়ারোস্তামির টেস্ট অব চেরি এবং সাইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র দি সারভাইভার দেখানো হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ মোহাম্মদ নিস্তার খান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. সাবিনা শারমিন এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি।

উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে ইবরাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত বডিগার্ড। উৎসবের অন্যান্য দিনে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদির দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন, দি সংস অব স্প্যারো, দি কালার অব প্যারাডাইস, আব্বাস কিয়ারোস্তামির টেস্ট অব চেরি এবং সাইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র দি সারভাইভার দেখানো হবে।

Sunday, December 1, 2024

জীবননাশের হুমকির মুখে অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী

বলিউড তারকা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সম্প্রতি জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন। পাকিস্তানের শাহজাদা ভাট্টি নামের এক গ্যাংস্টারের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও বার্তায় তাঁকে এই হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিও বার্তায় মিঠুন চক্রবর্তীকে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে, নইলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর কলকাতার সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতিকেন্দ্রে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বক্তৃতা দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মিঠুনের বক্তৃতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সমর্থক কলকাতার বউবাজার ও বিধাননগর দক্ষিণ থানায় আলাদাভাবে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করেছে, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের নেতা হুমায়ুন কবীর গত মে মাসে মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন, যার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ মিঠুন চক্রবর্তী এই বক্তৃতা দেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, বরং মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মিঠুন চক্রবর্তী ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগদানের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিজেপির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।

2024-11-11

‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’-এ গাইবেন জেমস-হাসান

যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গাইবেন বাংলাদেশের দুই ব্যান্ড তারকা শিল্পী জেমস ও হাসান। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে ‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’-এ গাইবেন এই দুই তারকা।

২২ সেপ্টেম্বর লন্ডনের রয়েল রিজেন্সি হলে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্টটি, এটি আয়োজন করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের স্যাটেলাইট টেলিভিশন আইঅন টিভি।

কনসার্ট সম্পর্কে আইঅন টিভির প্রধান নির্বাহী আতাউল্যাহ ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুধু যুক্তরাজ্য নয়, ইউরোপেও এই প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গাইবেন হাসান ও জেমস। আমরা বাংলাদেশে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে এই কনসার্টের আয়োজন করেছি। বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসনের সেই ঐতিহাসিক “কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” অনুসরণে এই আয়োজন।’

আতাউল্যাহ ফারুক আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের অনেকগুলো জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সংকটকালীন প্রবাসে থেকে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কনসার্টটি হচ্ছে। কনসার্টের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে।’

‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করছে লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাস।

2024-09-09

বিলিয়নিয়ার তারকাদের দলে নাম লেখালেন সেলেনা গোমেজ

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, সেলেনা গোমেজের মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। গায়িকা, অভিনেত্রী, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা সেলেনা গোমেজ এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কনিষ্ঠ স্বনির্ভর বিলিয়নিয়ার।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩২ বছর বয়সী সেলেনার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার।

ছোটবেলায় বার্নি এবং ডিজনি চ্যানেলের তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা সেলেনা গোমেজের বিপুল সম্পদের বেশিরভাগই এসেছে তার 'রেয়ার বিউটি' নামক মেকআপ কোম্পানি থেকে, যা তিনি পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বর্তমানে এই কোম্পানিতে তার শেয়ার মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এই ব্র্যান্ডের সাফল্য তাকে টেইলর সুইফট এবং রিহানার মতো কনিষ্ঠ স্বনির্ভর নারী ধনীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এছাড়াও, তিনি মানসিক স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ান্ডারমাইন্ড-এ বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সংগীত, অভিনয়, সম্পত্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পার্টনারশিপ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করেন।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, লুই ভিতোঁ, কোচ এবং পুমার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে এন্ডোর্সমেন্ট চুক্তি থেকে গোমেজ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। তিনি হুলুর জনপ্রিয় সিরিজ 'অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং'-এ অভিনয়ের জন্য প্রতি সিজনে কমপক্ষে ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এই সিরিজটি সম্প্রতি পঞ্চম সিজনের জন্য নবায়ন করা হয়েছে।

টেক্সাসে জন্ম নেওয়া গোমেজ প্রায় তিন দশক ধরে জনসমক্ষে রয়েছেন। গত বছর এই গায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসরণকারী নারী হয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তার ৪২৪ মিলিয়নেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছে, যা টেইলর সুইফট এবং কাইলি জেনারের চেয়েও বেশি।

২০২০ সালে গোমেজ জানান, তার বাইপোলার ডিসঅর্ডার ধরা পড়েছে এবং পরবর্তীতে এন্ট্রাপ্রেনিউর ম্যাগাজিনকে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার সঙ্গে করা যেকোনো চুক্তিতে অবশ্যই চ্যারিটি বা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু থাকতে হবে।

তিনি সেসময় 'রেয়ার ইম্প্যাক্ট ফান্ড' শুরু করেন, যার লক্ষ্য ছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার তোলা– যাতে মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

সিএনএন মন্তব্যের জন্য গোমেজের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি তৎক্ষণাৎ সাড়া দেননি।

2024-09-09

লিনকিন পার্কের ফেরা

প্রধান ভোকালিস্ট চেস্টার চার্লস বেনিংটনের মৃত্যুর পর থমকে ছিল লিনকিন পার্ক। প্রায় সাত বছর পর আবারও গানে ফিরেছে আইকনিক রক ব্যান্ডটি।

লিনকিন পার্কে সহ–ভোকালিস্ট হিসেবে যোগ দেন ডেড সারা ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট এমিলি আর্মস্ট্রং। ব্যান্ডের সহ–প্রধান ভোকালিস্ট মাইক শিনোডার সঙ্গে গাইবেন এমিলি।

২০১৭ সালে চেস্টার চার্লস বেনিংটনের আত্মহত্যার পর কার্যত অচল ছিল লিনকিন পার্ক। ব্যান্ডটি আবারও গানে ফিরবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ও ছিল। অনেকটা চমকে দিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর ব্যান্ডের নতুন লাইনআপ ঘোষণা করে লিনকিন পার্ক।

নবযাত্রায় নতুন দুই সদস্য যোগ করেছে এই ব্যান্ড। রব কর্ডনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে যোগ দেন কলিন ব্রিটেন। বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন গিস্টারিস্ট ব্র্যাড ডেলসন, জো হান ও বেজিস্ট ফোনিক্স।

আগামী ১৫ নভেম্বর অষ্টম স্টুডিও অ্যালবাম ফ্রম জিরো প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে লিনকিন পার্ক। ৫ সেপ্টেম্বর অ্যালবাম শীর্ষ গান ‘দ্য এম্পটিনেস মেশিন প্রকাশিত হয়েছে।

একই দিনে লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি কনসার্টে দেখা গেছে মাইক শিনোডা, এমিলি আর্মস্ট্রংদের। ‘লস্ট’, ‘দ্য এন্ড’, ‘ওয়েটিং ফর দ্য এন্ড’–এর মতো লিনকিন পার্কের ব্যান্ডের ক্ল্যাসিক হিট গানগুলো পরিবেশন করেছেন তাঁরা। কনসার্টটি লিনকিন পার্কের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ট্যুরও ঘোষণা করেছে লিনকিন পার্ক। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘ফ্রম জিরো ট্যুর শুরু হবে, শেষ হবে ১১ নভেম্বর। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, হামবুর্গ, লন্ডন, সিউলসহ আরও কয়েকটা শহরে গাইবে ব্যান্ডটি।

2024-09-07

যেভাবে ছড়িয়ে পড়ল কে-পপ

‘করোনাকালে যখন বাসায়, তখন একটা কে-ড্রামা দেখা শুরু করি। ভালোই লাগে। ওই সময়ই আবার বিটিএসের “ডায়নামাইট” গানটা বের হয়। সেটা আবার বিলবোর্ডের হট ১০০-এর ১ নম্বরে ছিল বেশ কিছুদিন। “ডায়নামাইট” থেকে অন্য গানের দিকে যাওয়া। মূলত ওদের গানের গল্পগুলা ভালো লাগে,’ বলছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিন যাঈমাহ্ কবির।

কে–পপ নিয়ে জাহিনের কিন্তু খুব একটা আগ্রহ ছিল না। কাছের বন্ধুরা কে-পপের ভক্ত ছিল। ভক্ত ছিল তাঁর বোন। তারা যখন দেখত, তাদের নিয়ে মজা করতেন জাহিন, বলতেন, ‘কী যে দেখো এসব!’ সেই জাহিন এখন কে-পপের পাঁড় ভক্ত।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কে–পপ নিয়ে উন্মাদনা, বিস্তর চর্চা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস জানালেন, কে-পপের জগতে মেয়েদের গ্রুপ ‘মামামো’–কে তাঁর বেশি ভালো লাগে। ব্যান্ডটির সদস্য হোয়াসাকে বেশি ভালো লাগে। হোয়াসার কথা বলার ধরন, তাঁর বোল্ড ভয়েসের গান তাঁকে বরাবরই মুগ্ধ করে।

কে-পপ নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন? কে-পপের প্রতি এত টানই-বা কিসের? বিশ্বসংগীতে কে-পপের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ময়নাতদন্ত করা যাক।

কে-পপ কী

সংগীতের প্রভাবশালী একটি ধারা কোরিয়ান পপ বা কে-পপ।এতে রয়েছে হিপহপ, ইলেকট্রনিক ড্যান্স, জ্যাজ, আরঅ্যান্ডবি, রকের মিশেল। আকর্ষণীয় সুর, ব্যতিক্রম কোরিওগ্রাফি, প্রতিভাবান শিল্পীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা কে-পপ শুধু মিউজিকই নয়, হয়ে উঠেছে ‘কালচারাল ফেনোমেনন’।

কে-পপ লাইভ: ফ্যানস, আইডলস অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া পারফরম্যান্স নামে একটি বই লিখেছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের অধ্যাপক সুক-ইয়ং কিম। তিনি মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ‘এটি সংগীতের চেয়েও বেশি কিছু। কোরিওগ্রাফি, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল মিলিয়ে এটি বিনোদনের সম্পূর্ণ একটি মাধ্যম। আমি মনে করি, কে-পপ এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে পশ্চিমা সাংস্কৃতিক ট্রেন্ড পিছিয়ে পড়ছে।’

আধুনিক কে–পপ

বলা হয়, ১৯২৬ সালে সংগীতশিল্পী ইউন সিম–দুকের ‘হিম অব ডেথ’–এর মধ্য দিয়ে আধুনিক কে–পপের যাত্রা শুরু। এটিই প্রথম কোনো কেক–পপ গান, যেটি জাপানেও প্রকাশিত হয়েছিল।

পঞ্চাশের দশকের গায়িকা লি মি জা–কে বলা হয় প্রথম ‘কে–পপ ডিভা’। ষাটের দশকের পর কে–পপ ধীরে ধীরে বিকশিত হতে শুরু করে। তবে তখনো মার্কিন ও জাপানি লোকসংগীতের প্রভাবে অনেকটা ঢাকা পড়ে ছিল কোরিয়ান সংগীত।

নব্বইয়ের দশকে কে–পপে ‘সেও তাইজি অ্যান্ড বয়েজ’ ব্যান্ডের হাত ধরে রীতিমতো বিপ্লব ঘটে যায়। ব্যান্ডটির তিন সদস্য সেও তাইজি, ইয়াং হিউন-সুক ও লি জুনো মিলে মার্কিন র‌্যাপ ও কোরীয় লিরিকের সংমিশ্রণ ঘটাতে সক্ষম হন। ১৯৯২ সালে একটি টেলিভিশন শোতে ব্যান্ডটি পারফর্ম করে। কিন্তু জুরির কাছ থেকে সবচেয়ে কম নম্বর পায়। তাতে কী? ওই শোতে তাদের গাওয়া ‘আই নো’ গানটি ১৭ সপ্তাহ ধরে কোরীয় সংগীতের টপ চার্টে ছিল। যাত্রার চার বছরের ব্যবধানে ১৯৯৬ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। এই ব্যান্ড মোট চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে।


একবিংশ শতাব্দীতে কে–পপকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে ‘গ্যাংনাম স্টাইল’। ২০১২ সালের ১৫ জুলাই কোরীয় গায়ক ও র‍্যাপার সাইয়ের কে–পপ গানটি রীতিমতো ঝড় তুলেছিল। সোয়া চার মিনিটের গানটির ভিডিওতে সাইয়ের অদ্ভুত নাচের ভঙ্গি আলাদা করে নজর কাড়ে।

বিটিএস, ব্ল্যাকপিংক এবং...

বিটিএসের হাত ধরেই তরুণদের অনেকে কে–পপের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। ফলে কে–পপ নিয়ে আলোচনায় সবার আগে এই ব্যান্ডের নামই আসে। বিটিএস নিয়ে জাহিন বলছিলেন, ‘ব্যান্ডটির সদস্যদের লাইফ স্ট্রাগলটা আমাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। এ জন্য কাছের মনে হয়।’

‘বিটিএস আর্মি অব বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন সানজিদা নাসরিন। গত বছরের জুনে বিটিএসের সদস্যদের নিয়ে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘নিজেরা চেষ্টা করে এত দূর এসেছে। যারা স্ট্রাগল করে, তাদের জন্য এটা অনেক ইন্সপায়ারিং। ব্যান্ডের সদস্যরা খুব সাধারণভাবে নিজেদের উপস্থাপন করেন।’

‘স্প্রিং ডে’, ‘ডায়নামাইট’, ‘বাটার’–এর মতো গান দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ কে-পপ ব্যান্ডে পরিণত হয়েছে বয় ব্যান্ড বিটিএস। এই সময়ের আলোচিত কে–পপ বয় ব্যান্ডের মধ্যে রয়েছে সেভেনটিন, এনসিটি, স্ট্রে কিডস।

বয় ব্যান্ডের সঙ্গে সমানতালে গার্ল ব্যান্ড এগিয়ে চলেছে। গার্ল গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্ল্যাকপিংক। বিটিএস নাকি ব্ল্যাকপিংক, এ নিয়ে কে–পপের অনুরাগীদের মধ্যে বরাবরই দ্বৈরথ চলে আসছে।

একসময় শ্রোতাদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় ছিল গার্লস জেনারেশন। মাঝে কয়েক বছরের বিরতি ভেঙে আবারও গানে ফিরেছে ব্যান্ডটি। হালের আলোচিত গার্ল ব্যান্ডের মধ্যে রয়েছে টোয়াইস, নিউ জিনস, মামামো, রেড ভেলভেট ইত্যাদি।

কে–পপ ব্যান্ডে শুধু কোরীয় সংগীতশিল্পীরাই থাকেন না; বাইরের শিল্পীরাও কে–পপ ব্যান্ডে রয়েছেন। ব্ল্যাকপিংকের তারকা গায়িকা লিসা থাইল্যান্ডের মেয়ে। কোরিয়ায় গিয়ে ক্যারিয়ার গড়েছেন। গার্ল গ্রুপ ব্ল্যাকসোয়ানের চার সদস্যের কেউই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক নন।

পথটা সহজ নয়

কে–পপ শিল্পীদের গান, র‍্যাপ, নাচ, অভিনয়—সবকিছুতেই দখল থাকতে হয়। বিদেশি ভাষাও শিখতে হয়। এসবে প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশ কয়েকটি এজেন্সি রয়েছে। এসব এজেন্সির ব্যানারেই ঘটে নতুন নতুন শিল্পী ও ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশ। অডিশন দিয়ে উত্তীর্ণদের বছরের পর বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেয় তারা। অনেককে তৈরি করতে ১০ বছরও লেগে যায়। অনেকে আবার ঝরে পড়ে। প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ শিল্পীদের নিয়ে নতুন ব্যান্ডের ঘোষণা দেওয়া হয়। এজেন্সিগুলো এর আগে মোটা অঙ্কের অর্থ ঢেলে শিল্পী ও ব্যান্ড নিয়ে ব্যাপক প্রচার করে। আসলে প্রশিক্ষণ থেকে ব্যান্ডের আত্মপ্রকাশ পর্যন্ত এজেন্সিগুলো প্রচুর অর্থ ঢালে। যত দিন সেই আর্থিক ঋণ শোধ না হয়, তত দিন এজেন্সি থেকে মুক্তি মেলে না। শিল্পী ও ব্যান্ডের ওপর এজেন্সির একচ্ছত্র আধিপত্য থাকে। এজেন্সি তখন যেভাবে চাইবে, সেভাবেই চলতে হবে। এর অবশ্য কারণও আছে। কঠিন সে পথ বেছে নেওয়াটা তাই কম সাহসের নয়!

তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিবিএস নিউজ, কোরিয়া টাইমস, এলএ ফিল্ম স্কুল, ৯০ ডে কোরিয়ান, টিন ভোগ

2024-09-08

ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব: আলমোদোভারের হাতে স্বর্ণসিংহ

৮১তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণসিংহ (গোল্ডেন লায়ন) জিতলেন স্প্যানিশ নির্মাতা পেড্রো আলমোদোভার। তাঁর পরিচালিত ‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’ সিনেমার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

গত রাতে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চলচ্চিত্র উৎসবের ৮১তম আসরের পর্দা নামে। সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগসহ বিভিন্ন শাখার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

‘দ্য রুম নেক্সট ডোর’ ইংরেজি ভাষার ছবি। এই প্রথম পুরোপুরি ইংরেজি ভাষায় চলচ্চিত্র বানিয়েছেন আলমোদোভার। সেই সিনেমা জিতে নিল ভেনিসের সর্বোচ্চ পুরস্কার। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন টিলডা সুইন্টন ও জুলিয়ান মুর। উৎসবে প্রিমিয়ারের পর ১৭ মিনিট ধরে স্ট্যান্ডিং ওবেশন পেয়েছিল সিনেমাটি।

পুরস্কার গ্রহণ করে প্রতিক্রিয়ায় আলমোদোভার বলেন, ‘আমি এই পুরস্কার আমার পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। এই সিনেমাটি ইংরেজিতে আমার প্রথম চলচ্চিত্র...তবে আত্মাটি স্প্যানিশ।’
রৌপ্যসিংহ বা সেরা পরিচালকের পুরস্কারটি পেয়েছে ব্র্যাডি করবেট। এই পুরস্কার তিনি পেয়েছেন ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ সিনেমার জন্য। এতে অভিনয় করেছেন অ্যাড্রিয়ান ব্রডি ও ফেলিসিটি জোন্স।

আসরে সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার জিতেছেন নিকোল কিডম্যান। ইরোটিক থ্রিলার ‘বেবিগার্ল’-এ অভিনয়ের জন্যই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ‘দ্য কোয়াইট সন’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার উঠেছে ভিনসেন্ট লিন্ডনের হাতে।
সিলভার লায়ন গ্র্যান্ড জুরি পুরস্কার জিতেছে মৌরা ডেলপেরোর ‘ভারমিগ্লিও’।
গত ২৮ আগস্ট শুরু হয়েছিল ভেনিস উৎসব।

2024-09-08

বিচ্ছেদ হচ্ছে জেনিফার লোপেজ-বেন অ্যাফ্লেকের

বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছিল গুঞ্জন। অবশেষে তা সত্যি হয়েছে। ঘর ভাঙছে হলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি জেনিফার লোপেজ ও বেন অ্যাফ্লেকের। বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন লোপেজ।

গতকাল মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেতা ও পপ তারকা জেনিফার।

জেনিফারের প্রতিনিধি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। বেনের মুখপাত্র তাৎক্ষনিকভাবে এএফপির মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।

সাবেক পপ তারকা থেকে অভিনেত্রী হয়ে ওঠা জেনিফারের (৫৫) এটি চতুর্থ এবং অস্কার বিজয়ী অভিনেতা-পরিচালক বেনের (৫২) দ্বিতীয় বিয়ে।

২০০২ সালে 'গিগলি' সিনেমার শুটিংয়ের সময় বেনের সঙ্গে জেনিফারের পরিচয় হয়। সিনেমাটি দুর্বল অভিনয় ও স্ক্রিপ্টের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়।

সে সময় তাদের প্রেম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তারা ছিলেন হলিউডের সবচেয়ে আলোচিত জুটির মধ্যে অন্যতম। এক ট্যাবলয়েড পত্রিকা এই যুগলকে 'বেনিফার' (বেন অ্যান্ড জেনিফার) নামে অভিহিত করে, যা বেশ জনপ্রিয় হয়।

এরপর ২০০৩ সালে তাদের বাগদান হয়। তবে এর পরের বছর তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

২০২১ সালের এপ্রিলে আবার তাদের প্রেমের খবর পাওয়া যায়।

এ সময় এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার বলেন, 'আমরা যে দ্বিতীয় সুযোগটি পেয়েছি, তা নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ ভালোবাসার গল্প।'

২০২২ সালের ১৬ জুলাই প্রথম বাগদান ভাঙার ১৭ বছর পর বিয়ে করেন বেন ও জেনিফার।

বিয়ের পর জেনিফার লোপেজ নিজের ওয়েবসাইটে লেখেন, 'বিয়েটা করেই ফেললাম। ভালোবাসা সুন্দর। ভালোবাসা উদার। ২০ বছর পর আমাদের ভালোবাসা পরিণতি পেল।'

বিয়ের পর একসঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত 'বেনিফার' জুটিকে।

গত বছর ৬০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে দুইজন যৌথ মালিকানায় লস অ্যাঞ্জেলসে একটি বাড়ি কেনেন।

সর্বশেষ চলতি বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত গোল্ডেন গ্লোবে দেখা যায় তাদের।

এর পর থেকেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সেটা বরাবরই অস্বীকার করেছেন জে'লো নামেও পরিচিত জেনিফার।

ভক্তরা লক্ষ্য করেন, কয়েক মাস আগে বেনকে ছাড়াই ৫৫তম জন্মদিন পালন করেছেন জেনিফার লোপেজ। মার্কিন বিনোদন সংবাদমাধ্যম টিএমজি বলেছে, তারা তাদের দুইজনের নামে কেনা বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং বেন অ্যাফ্লেক আলাদা বাসা ভাড়া নিয়েছেন।

পিপল ম্যাগাজিন বলেছে, তাদের সম্পর্কে টানাপড়েনের মূল কারণ 'তারকা' জীবন সম্পর্কে দুইজনের দৃষ্টিভঙ্গীতে আকাশ-পাতাল তফাৎ।

পত্রিকাটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, 'জেনিফার তার ভক্ত ও সারা দুনিয়ার কাছে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। তাদেরকে নিজের মনের কথাগুলো বলতে চান।'

'অপরদিকে, বেন অন্তর্মুখি ও নিজের মতো করে জীবনযাপনের দর্শনে বিশ্বাসী। এ কারণে এই দম্পতির দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে', যোগ করেন তিনি।

টিএমজি জানিয়েছে, নথিতে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক দিন হিসেবে ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ কে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিছুদিন আগেই পূর্বনির্ধারিত সামার কনসার্ট বাতিল করেন লোপেজ। তখনই প্রচার হয় যে, সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার কারণেই কনসার্ট বাতিল করেছেন তিনি। যদিও বিবৃতিতে লোপেজ বলেছিলেন, পরিবারকে সময় দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

২০০৪ সালে গায়ক মার্ক অ্যান্থনিকে বিয়ে করেন লোপেজ। ২০১৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের দুই সন্তান আছে। বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে এটি লোপেজের চতুর্থ বিয়ে। অন্যদিকে ২০০৫ সালে অভিনেত্রী জেনিফার গার্নারকে বিয়ে করেছিলেন বেন। ২০১৮ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বেন ও গার্নার জুটির তিনটি সন্তান আছে।

2024-09-01

বলিউডের শীর্ষ ধনী এখন শাহরুখ

বলিউডের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার শাহরুখ খান। এ কথার সঙ্গে হয়তো কেউ দ্বিমত করবেন না। কারণ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে শাহরুখ খানের ভক্তরা। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ জানে, কে এই শাহরুখ খান।

কয়েক বছরের বিরতি শেষে ২০২৩ সালে বড়াপর্দায় ফিরেই আবার ইতিহাস গড়েন তিনি। তিনটি বড় হিট উপহার দিয়ে সবাইকে চমকে দেন। সে বছর এই অভিনেতা পাঠান দিয়ে বছর শুরু করেন। তারপর জওয়ান। তারপর ডানকি দিয়ে ভক্তদের মাতান শাহরুখ খান। তিনটি সিনেমা বক্স অফিসে ঝড় তোলে। কারণ কী? কারণ ছিল একটাই-তিনটি সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান।

সিনেমা ছাড়া মুম্বাইয়ে তার বিশাল বাড়ি মান্নাত কতটা বিখ্যাত সে কথাও সবার জানা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন তাকে এক নজর দেখবেন বলে। তারা ভাবেন, হয়তো তাদের প্রিয় নায়ক বের হয়ে তাদের দিকে হাত নাড়বেন।

হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্টে শাহরুখ খান
আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিকও তিনি। শাহরুখ খানকে বিনোদন জগতের অন্যতম ধনী অভিনেতা বলা হয়। এবার হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্টে জায়গা হয়েছে তার। মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানিসহ অন্যান্য ধনী ব্যক্তিদের পাশাপাশি তিনিও এই তালিকায় উঠে এসেছেন। বিনোদন জগতের মানুষের জন্য এটা একটা বড় ব্যাপার।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সাত হাজার ৩০০ কোটি রুপি সম্পত্তি নিয়ে হুরুন ইন্ডিয়া ধনীর তালিকায় ঢুকে পড়েছেন শাহরুখ। তার প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট ও আইপিএল ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সৌজন্যে তিনি এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী চলচ্চিত্র তারকা হয়ে উঠেছেন।

বিনোদন জগত থেকে আরও কয়েকজন এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। বিনোদন ক্যাটাগরিতে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শাহরুখের বন্ধু তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহ-মালিক জুহি চাওলা। যার মোট সম্পদের পরিমাণ চার হাজার ৬০০ কোটি রুপি। দুই হাজার কোটি রুপির সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন হৃতিক রোশন। হৃতিক পেরেছেন কারণ তার অ্যাথলেইজার ব্র্যান্ড এইচআরএক্স।

চতুর্থ স্থানে আছেন অমিতাভ বচ্চন ও তার পরিবারের সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ এক হাজার ৬০০ কোটি রুপি। করণ জোহর তার সিনেমা প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনের কারণে এক হাজার ৪০০ কোটি রুপির সম্পদ নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছেন। ২০২৪ সালের হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্টে এক হাজার ৫৩৯ জন ব্যক্তি আছেন। যাদের প্রতেক্যের এক হাজার কোটি রুপির বেশি সম্পদ আছে।

শাহরুখ খানকে আগামীতে তার মেয়ে সুহানা খানের সঙ্গে কিং ছবিতে দেখা যাবে। সিনেমায় অভিষেক বচ্চনকে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে বলে জানা গেছে।

2024-08-31

‘গেম অব থ্রোনস’-এর শেষ সিজন তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হয়েছিল: কিট হ্যারিংটন

শেষ সিজনে এসে আশাহত হন দর্শকরা, সিজনের শেষ পর্বে টারগারিয়ান রাজপরিবারের শেষ উত্তরসূরি ডেনেরিস টারগারিয়ানের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি অনেকে। মুভি রেটিং ওয়েবসাইট আইএমডিবিতেও পুরো সিরিজের সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া পর্ব ছিল এটি।   

রাজপরিবারের সিংহাসন দখলের জন্য অভিজাত পরিবারগুলোর লড়াই নিয়ে তৈরি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ 'গেম অব থ্রোনস'। জর্জ আর. আর. মারটিনের কল্পকাহিনি নির্ভর উপন্যাস অবলম্বনে এইচবিও নির্মিত সিরিজটি আট বছর ধরে দর্শকদের আনন্দের খোরাক জুগিয়েছে।

তবে শেষ সিজনে এসে আশাহত হন দর্শকরা, সিজনের শেষ পর্বে টারগারিয়ান রাজপরিবারের শেষ উত্তরসূরি ডেনেরিস টারগারিয়ানের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি অনেকে। শেষ সিজন নিয়ে নির্মাতাদের দিকে সমালোচনা ও নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় বয়ে আসে। মুভি রেটিং ওয়েবসাইট আইএমডিবিতেও পুরো সিরিজের সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া পর্ব ছিল এটি।   

'গেম অব থ্রোনস'-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রগুলির একটি জন স্নো। এই চরিত্রে অভিনয় করে কিট হ্যারিংটনও পৌঁছে গিয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে শেষ পর্ব প্রচারিত হওয়ার পাঁচ বছর পর সিরিজ সম্পর্কে নতুন তথ্য দিলেন এ তারকা।

জিকিউ ম্যাগাজিনের একটি সাক্ষাৎকারে হারিংটন স্বীকার করেছেন যে, ২০১৯ সালের মে মাসে প্রচার হওয়া সিরিজের অষ্টম এবং শেষ সিজন তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হয়েছিল।

হ্যারিংটন বলেন, 'আমার মনে হয় গল্পের দিক থেকে শেষের দিকে বেশ ভুল হয়েছে। কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যা ঠিকমতো কাজে লাগেনি'।

'সিরিজের শেষের দিকে এসে আমরা সবাই-ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, আমাদের পক্ষে আর সিরিজটি সামনে এগিয়ে নেয়া সম্ভব ছিল না। অনেকেই মনে করছেন আমরা তাড়াহুড়ো করেছি, তাদের সাথে আমি একমত। কিন্তু আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না', বলেন তিনি।

২০১৯ সালে গেম অব থ্রোনসের শেষ সিজন এইচবিওতে সম্প্রচারিত হয়। সম্প্রচারের পর থেকেই নানা কারণে এটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, বছরের পর বছর ধরে জটিল গল্প এবং চরিত্রগুলো তৈরি করে দর্শকদের মাঝে আকর্ষণ তৈরি করা হলেও, শেষের দিকে এসে গল্পের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো মাত্র ছয়টি পর্বে শেষ করা হয়েছিল।

অনেক ভক্তদের দাবি, এমিলিয়া ক্লার্কের ডেনেরিস টারগেরিয়ানের মতো প্রধান চরিত্রগুলোর শেষটা ভালোভাবে হয়নি।

হারিংটন বলেন, 'সবাই তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তবে দলের সদস্যরা ১০ বছর ধরে সিরিজের শুটিং করতে করতে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। শেষ সিজনের আমার নিজের ছবি দেখলে ক্লান্ত এবং নিঃশেষ মনে হয়। আমার পক্ষে আরও একটি সিজন চালিয়ে যাওয়ার শক্তি ছিল না'।

'আমি যখন শুরু করেছিলাম তখন সবাই গেম অব থ্রোনস অনেক পছন্দ করত, কিন্তু আমি যখন বেরিয়ে এলাম সবাই ঘৃণা করতে শুরু করেছিল… আমি ভাবছিলাম, আসলে হচ্ছেটা কী?', বলেন হ্যারিংটন।

অভিনেতা জন স্নো চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া স্পিন-অবসিরিজ নিয়েও কথা বলেছেন এ অভিনেতা। জানালেন সিরিজটি এখন আর তৈরি হচ্ছে না।

২০২২ সালের জুনে গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, এইচবিও জন স্নো চরিত্রের একটি স্পিন-অব সিরিজ তৈরি করছে এবং হ্যারিংটনকে সেই চরিত্রে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা চলছে। তবে, এই বছরের এপ্রিল মাসে এসে হ্যারিংটন জানান, আপাতত এই সিরিজে তার কাজ করার কোনো সম্ভাবনা নেই।

হ্যারিংটন বলেন, এইচবিও কর্তৃপক্ষ যখন তার কাছে স্পিন-অব সিরিজটির অফার নিয়ে আসে তখন শুরুতেই তিনি তাদের 'না' বলে দেন। কিন্তু পরে কোনো কারণে তিনি রাজি হন।

তিনি বলেন, যুদ্ধের পর ক্যাসেল ব্ল্যাকে জন স্নো-এর সৈনিক জীবন সম্পর্কে এটি একটি আকর্ষণীয় গল্প হতে পারত। আমরা দুই বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করেছি, কিন্তু কেউ-ই গল্প নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। শেষে এই সিরিজের পরিকল্পনা থেকে সরে আসি আমরা।

2024-08-13

কার্টুন নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে গেল

কার্টুন নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে ক্লিক করার পর এখন এটি স্ট্রিমিং পরিষেবা ম্যাক্সের ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশ করে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সাইনআপ এবং সাবস্ক্রিপশনের পরই দর্শকরা তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান দেখতে পারছেন।

বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি টিভি চ্যানেল 'কার্টুন নেটওয়ার্ক'-এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। গত ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি (ডাব্লুবিডি) এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দর্শকরা এখনও টিভি এবং সংযুক্ত অ্যাপ্লিকেশনে কার্টুন নেটওয়ার্কের অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট 'বুমেরাং' বন্ধ হয়ে যাবে এমন ঘোষণা দেয়ার এক সপ্তাহ পর কার্টুন নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট বন্ধেরও ঘোষণা দিল ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি । প্রতিষ্ঠানটি ব্যয় হ্রাস এবং ভক্তদের পরিবর্তে ম্যাক্সে সাবস্ক্রাইব করতে উৎসাহিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

কার্টুন নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইটে ক্লিক করার পর এখন এটি স্ট্রিমিং পরিষেবা ম্যাক্সের ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশ করে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সাইনআপ এবং সাবস্ক্রিপশনের পরই দর্শকরা তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান দেখতে পারছেন।

ম্যাক্সের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা মাত্রই একটি বার্তা আসছে— আপনার প্রিয় কার্টুন নেটওয়ার্ক শো-এর পর্বগুলো খুঁজছেন? ম্যাক্সে কী কী স্ট্রিম করা হচ্ছে তা দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন।

এক বিবৃতিতে কার্টুন নেটওয়ার্কের একজন মুখপাত্র ভ্যারাইটিকে বলেন, আমরা কার্টুন নেটওয়ার্ক শো এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে মনোনিবেশ করছি এখন। এখানে দর্শক বেশি এবং ভালো করারও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কার্টুন নেটওয়ার্ক টিভিতে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।

তবে শুধু ডাব্লুবিডি-ই একা নয় যারা ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। এই গ্রীষ্মের শুরুতে, প্যারামাউন্ট গ্লোবালও কমেডি সেন্ট্রালের ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর কন্টেন্ট সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া, ইন্টারনেট থেকে এমটিভি নিউজ ও সিএমটির পুরো আর্কাইভও সরিয়ে ফেলেছে তারা।

2024-08-10